التخطي إلى المحتوى الرئيسي

|| চিঠি ||

Song Lyrics
Reviewed by MOHAN SADHUKHANon May 12 2019
Rating: 5



॥ চিঠি ॥ 



‌প্রায় দশ বছর পর বাড়ি ফিরছে সৌম্যজিৎ। মেডিকেল কলেজের পড়া শেষ করে , আমেরিকা যেতে হয় কাজের তাগিদে ।ট্রেনের কামরায় বসেছে দশ মিনিট হয়েছে। কুলিদের চিৎকার, যাত্রীদের কোলাহল তার কানে পৌঁছাছে না , সৌম্যজিৎ ভাবছিল কবিতার কথা , গ্রামের কত খুনসুটির কথা। ছোট থেকে একসাথে বড়ো হয়ে উঠেছে সৌম্যজিৎ ও কবিতা ।ঝড়ের রাতে আম কুড়তে যাওয়া , বর্ষায় মাছ ধরতে যাওয়া ।বর্ষায় ওদের ছোট নদীতে মাছ ধরতে যেত, প্রচুর মাছ পাওয়া যেত ওখানে , মাছের চার বানিয়ে দিতো কবিতা ।যা মাছ পেতো দুজনে ভাগাভাগি করে নিতো।ঘুড়ি ওড়াতে সৌম্যজিৎ খুব পছন্দ করতো, ধানক্ষেতের মধ্যে দিয়ে কত ঘুড়ি উড়িয়েছে সৌম্যজিৎ ।সুতোর মাঞ্জা দিতে কবিতা সাহায্য করতো।দেখতে দেখতে ওরা দুজনে কখন যেন বড়ো হয়ে উঠেছে, কৈশোর ছেড়ে , যৌবনে পা দিয়েছে । সৌম্যজিৎ তখন কলেজে। কবিতা তখন ক্লাস ইলেভেন, ওদের পাশাপাশি বাড়ি সৌম্যজিৎদের বাড়ির চিলেকোঠা থেকে কবিতাদের বাড়ির জানালাটা পষ্ট দেখা যায়। দুজনের চোখাচোখি হতো যখনই ।মুচকি হেসে কবিতা সরে যেত ।এমনি কিছুদিন কাটলো ।একদিন রাতে বসে সৌম্যজিৎ একখানা চিঠি লিখলো। চিঠিটা ছিল এমন,

‌প্রিয় কবিতা , 

‌ আমি চিঠি লিখতে পারিনা , চেষ্টা করলাম মাএ, ইদানিং আমার কি হয়েছে জানিনা তোকে একদিন দেখেতে না পেলে মনের মধ্যে কেমন হাঁসফাঁস করে।তুই যখন জানালার পাশে এসে মুচকি হাসিস ।তখন সবকিছু কেমন উলোট পালোট হয়ে যায়।বসন্তের রঙে রঙ্গিন হয়ে উঠি।স্বপ্ন দেখি তোকে নিয়ে, তোর মধ্যে খুঁজে পেয়েছি সুন্দর হৃদয় ।ঝোরা হাওয়ায় গাছের পাতা গুলো যখন ঝরে ঝরে পড়ে , তখন অনেক কিছুই মনে পড়ে যায় ।এই রঙিন পৃথিবীতে একসাথে পথ হাটতে চাই। তুই কি সঙ্গী হবি আমার ।

‌ ইতি-
‌ সৌম্যজিৎ 

‌কলেজ যাওয়ার পথে চিঠিটা দিলো সৌম্যজিৎ ।তার ঠিক দুদিন পরে চিঠি এলো সৌম্যজিৎ কাছে , চিঠিটা হল এই ।

‌প্রিয় সৌম্যজিৎ, 

‌তোর চিঠি পড়ে আমি বিশ্বাস করতে পারিনি প্রথমে , বার কয়েক পড়লাম চিঠিটা, সেদিন রাতে ঘুমাতে পারিনি। 
‌আমারও তোকে ভালো লাগে , শক্ত করে ধরতে পারবি তো এই হাত, কখনও ছেড়ে দেবিনা তো।
‌যদিও তোর উপর আমার পুরোপুরি বিশ্বাস আছে ।
‌আমাদের গ্রামের শ্যাম ইদানিং প্রচন্ড বিরক্ত করে তুই ওকে একটু আচ্ছা করে বকে দিস তো।
‌ 
‌ ইতি-
‌ কবিতা 

‌এরপর এমন ছোটখাটো চিঠি প্রায় লেখা হয়ে থাকতো ।অনেক গুলো বসন্ত একসাথে পার করেছে ।আমেরিকা যাওয়ার দিন প্রচন্ড কেঁদেছিল মেয়েটা ।কেমন আছে এখন সে। কে জানে।এই কয়েক বছরে কোন যোগাযোগ ছিলোনা ।শুধু এই চিঠি গুলো সাথে ছিল সৌম্যজিৎ এর এই যা ভরসা ।কিছু অর্কিড নিয়েছে কবিতার জন্য। কবিতার বড্ড প্রিয় এই ফুলটি।বলতো বিয়ের সময় এই ফুল দিয়ে সাজানো চাই ।এইসব ভাবছে ,
এমন সময় সামনে বসা এক ভদ্রলোক বললো , আপনি বাঙালি , সৌম্যজিৎ বলল হ্যাঁ , আপনার হাতের আংটিতে রাম লেখা দেখেই বুঝেছিলাম ।ভালোই হলো আপনার সাথে গল্প করা যাবে।আমি আবার বাপু চুপচাপ বসে থাকতে পারিনা ।লোকটি চাকরি থেকে দেশের বাড়ি ফিরছে লোকটি সৌম্যজিৎকে পেয়ে বকবক করে চললো। মশাই কতদিন বাঙালি দেখিনি কল্পনা করতে পারবেন না , আপনাকে দেখে বড্ড শান্তি পেলাম ।সৌম্যজিৎ ও বেশ শান্তি পেল।সে ও তো বাঙালি দেখেনি, লোকটি বললো আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
‌সৌম্যজিৎ বলল দেশের বাড়ি ।
‌কি করেন আপনি ?
‌আমি ডক্টর ।
ওহ্ বলে।বর্তমান পেপারটা এগিয়ে দিয়ে লোকটা একটি খবর পড়তে বললো ।
‌বড় বড় অক্ষরে হেডলাইন , শিশুর কিডনী বিক্রি করতে গিয়ে গ্রেফতার ডাক্তার ।
‌খবরটা আগাগোড়া পড়ে সৌম্যজিৎ বললো এই সমস্ত ডাক্তার গুলোর জন্য সমস্ত ডাক্তার জাতির কলঙ্ক লেগে যাচ্ছে ।
‌দেখুন দেখি ডাক্তারের কাজ মানুষকে সেবা করা ডাক্তার যদি এমন করে তবে কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ ।এখন অসুখ হলে ডাক্তারের কাছে যেতেও ভয় লাগে।সব ডাক্তার যে এমন আমি তা বলছিনা।আরও নানান সব গল্প ভদ্রলোকর গ্রামের গল্প, শুনতে শুনতে বেশ আনন্দেই কাটলো এত বড়ো journey।

‌দুদিন পর গন্তব্যে পৌঁছে কি যে ভালো লাগছে।সৌম্যজিৎ এর বাবা গাড়ি পাঠিয়ে ছিল ।গাড়িতে করে যখন যাচ্ছিল সৌম্যজিৎ চেনা রাস্তাঘাট কেমন যেন অচেনা হয়ে গেছে , ড্রাইভার কে জিজ্ঞেস করলে এটা শালবনির রাস্তা না , হ্যাঁ স্যার ।তিন বছরে কতকিছু বদলে গেছে রাস্তা গুলো সব পাঁকা হয়ে গেছে।আরো কত কাঁচা পাঁকা ঘর হয়েছে
‌নতুন।বাড়ি ফিরে সৌম্যজিৎ একটি সুন্দরী মেয়ে মায়ের সাথে দেখে একটু অবাক হলো ।মেয়েটি মুচকি মুচকি হাসছিল, হাসিটা খুব চেনা চেনা , তবুও মনে করতে পারলো না কে।বাছা ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করিস নি রোগা হয়ে গেছিস, সৌম্যজিৎ এর মা বলল।
‌মা প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম, ডাক্তারের জীবন বুঝতেই তো পারছো।আমার সামনে এসেছিস আর নয়, নে সরবতটা খেয়ে নে।মা আমার ব্যাগ থেকে অর্কিড গুলো বের করে ফুলদানিতে রাখো তো , নয় নষ্ট হয়ে যাবে।মেয়েটি আবার মুচকি হেসে বাইরে চলে গেল ।মা এই মেয়েটি কে? কি বলছিস চিনতে পারলি না। কবিতা রে।কবিতা এটা? অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে ।হ্যাঁ কেমন লাগে কবিতাকে তোর, ভালোই কেন মা?
‌তোর বাবা ওর সাথে তোর বিয়ে ঠিক করেছে ।আমার কাজ বাকি আছে ।তুই স্নানটা সেরে ফেল, তারপর খেতে দেবো।মা রান্না ঘরে চলে গেল।সৌম্যজিৎ আনন্দে আটখানা , মনে মনে যেন এটাই চাইছিল সৌম্যজিৎ ।

‌গ্রীষ্মের দুপুরে ঝরা পাতায়,

বিশ্বজীৎ বণিক

تعليقات

المشاركات الشائعة من هذه المدونة

Jani Pabona Lyrics, Imran | Shithee

Jani Pabona Song Is Sung by Imran And Shithee Sarker. Starring: Imran Mahmudul And Nadia Mim. Music Composed by Imran And Peye Haralam Debe Ke Daam Lyrics In Bengali Written by Snahashish Ghosh. Jani Pabona Song Credits: Song: Jani Pabona Singer: Imran & Shithee Sarker Lyrics: Snahashish Ghosh Tune & Music: Imran Mahmudul Director: Saikat Reza Dop: Bikash Saha Edit: Rejaul Raju Label: Central Music and Video [CMV] Jani Pabona Song Lyrics: পেয়ে হারালাম দেবে কে দাম ভেঙে যাওয়া এই ভালোবাসার, থাকবে হৃদয়ে বিষফোঁড়া হয়ে বয়ে বেড়াবো যন্ত্রনা ব্যেথার, আর কি কখনো একফোঁটা স্বপ্ন সাহসটা পাবো দেখার জন্য, জানি পাবোনা, জানি পাবোনা। পেয়ে হারালাম দেবে কে দাম ভেঙে যাওয়া এই ভালোবাসার, থাকবে হৃদয়ে বিষফোঁড়া হয়ে বয়ে বেড়াবো যন্ত্রনা ব্যেথার।। চলতে গিয়ে পথে যদি আবার দেখা হয়ে যায় তোমার আমার, মুখ ফিরিয়ে চলে যাবে জানি হয়তো পাশে থাকবে কেউ আর, তোমাকে ছোঁয়ার আর অধিকার জানি পাবোনা, জানি পাবোনা। পেয়ে হারালাম দেবে কে দাম ভেঙ্গে যাওয়া এই ভালোবাসার, থাকবে হৃদয়ে বিষফোঁড়া হয়...

গিলোই বা গুলঞ্চ এর উপকার ও ব্যবহার | Benefits and uses of Giloi or Gulach

গিলই গাছের পাতা এবং এর আয়ুর্বেদিক গুণ গিলই বা গুলঞ্চের উপকারিতা, ব্যবহার ও আয়ুর্বেদিক গুণ গিলই বা গুলঞ্চ একটি আয়ুর্বেদিক মহৌষধ, যা প্রাচীনকাল থেকে রোগ প্রতিরোধ, জ্বর নিরাময়, এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতিতে ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইমিউন-বুস্টিং গুণ এটিকে বিশেষ করে। এই পোস্টে আমরা গিলইয়ের উপকারিতা এবং ব্যবহার পদ্ধতি বিস্তারিত জানব। গিলইয়ের আয়ুর্বেদিক উপকারিতা রক্তস্বল্পতা দূর করে: গিলই রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে এবং অ্যানিমিয়া দূর করে। প্লীহার স্বাস্থ্য: প্লীহার রোগ নিরাময়ে গিলই অত্যন্ত উপকারী। পেটের সমস্যা: হজম সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, এবং পেটের রোগে গিলই কার্যকর। চোখের দৃষ্টিশক্তি: গিলই দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক। জ্বর নিরাময়: ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, বা বারবার জ্বর নিরাময়ে গিলই রামবাণ। লিভার ও ডায়াবেটিস: লিভারের স্বাস্থ্য এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। গিলইয়ের রস তৈরির প্রক্রিয়া গিলই কীভাবে ব্যবহার করবেন? রক্তাল্পতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিদিন সকালে ও বিকালে ১-...

গ্রীষ্মকাল চামড়ার ট্যান দূর করার সহজ উপায় | Natural way to remove tan

গ্রীষ্মকালে চামড়ার ট্যান দূর করার সহজ উপায় ট্যান দূর করতে প্রাকৃতিক উপায় গ্রীষ্মকাল শুরু হতে চলেছে এবং দেশের অনেক অংশেই গরমের আরম্ভ হয়ে গিয়েছে। প্রচণ্ড রোদে থাকার ফলে চামড়ার ওপর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে। রোদে থাকার কারণে চামড়ার কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এর ফলে চামড়ায় ট্যান পড়ে। মুখের ওপর এই কালো দাগগুলি আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এগুলি দূর করতে কস্মেটিক্স ব্যবহার করার চেয়ে প্রাকৃতিক ও গৃহস্থালির উপায় ব্যবহার করাই ভাল। দই এবং টমেটোর ফেস প্যাক দই এবং টমেটো চামড়ার ট্যান দূর করতে এবং নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। দুই চামচ দই এবং এক চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি চামড়ায় লাগিয়ে 20-25 মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। More Articles on this topic লেবুর রস লেবুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ থাকে, যা চামড়ার ট্যান দূর করতে খুব কার্যকর। নিম্বুর এসিড চামড়ায় হওয়া টান দূর করে এবং চামড়ায় উজ্জ্বলতা আনে। নিম্বুর রস কাপড়ের সাহায...