To see our videos go to this link.. Go Now!

আয়ুর্বেদিক উপায়ে অম্বল-এর থেকে মুক্তি

আয়ুর্বেদিক উপায়ে অম্বল-এর থেকে মুক্তি | Relieve Acidity in Ayurvedic way

|| আয়ুর্বেদিক উপায়ে অম্বল-এর থেকে মুক্তি ||

Relieve Acidity in Ayurvedic way

  আমাদের বেশিরভাগ রোগ পেট খারাপের জন্য হয়ে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা হলো যে, পেট খারাপ আপনি আপনার দিন চর্চা, খাবার খাওয়ার পদ্ধতি আর সকালে উঠে জল খাওয়া ইত্যাদির অনেক অভ্যাসের দ্বারা কমাতে পারেন। পেট খারাপ হওয়ার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হল অম্বল হওয়া। অম্বল ঠিক করার জন্য বাজারে অনেক ওষুধ পাওয়া যাবে যেগুলো তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়ার পরিবর্তে আপনাকে রোগীতে পরিণত করবে। এছাড়া জলে মিশিয়ে খাওয়ার ওষুধ আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য আরাম দিতে পারে। কিন্তু অম্বলের সমস্যাকে খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করার জন্য আপনাকে কিছু অভ্যাস এবং সমাধান প্রয়োগ করতে হবে।

অম্বল হওয়ার সমস্যা :-

     শরীরে এক রকম  অ্যাসিড যা খাবার পাচন করার কাজ করে। কিন্তু এই অ্যাসিড-এর ভারসাম্য হারানোর ফলে অম্বল-এর সমস্যা দেখা যায়। যখন আপনার বুকের ভিতর জ্বালাভাব করবে বা টক ঢেকুর উঠবে তখন ভাববেন আপনার অ্যাসিডিটি হয়েছে বা অম্বল হয়েছে। কিছু কিছু সময় অম্বলের কারণে বুকে ব্যথা হয়ে থাকে, এর ফলে আপনার খিদে পায় না এবং কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করে না। আপনি সারাদিন দুর্বল ভাব অনুভব করেন, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য-এর  কারণ কিছু কিছু সময় অম্বল হয়ে থাকে। শ্বাস নিতে সমস্যা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা এগুলো অম্বল-এর কারণেই হয়ে থাকে।

অম্বল বা acidity হলে কি করা উচিত বা অনুচিত :-


  • সকালে উঠে প্রায় দুই গ্লাস হালকা উষ্ণ গরম জল খাবেন। রোজ এই উষ্ণ গরম জল খেলে প্রথম দু-দিন হয়তো বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু এতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এতে আরও সন্তুষ্ট হন, যে আপনার শরীরের মধ্যে অ্যাসিড জলের আকারে বের হয়ে যাচ্ছে।
  • সকালে খুব হালকা খাবার খাবেন এবং সাথে অন্য খাবার রাখবেন যেগুলো আধঘন্টা অন্তর অন্তর খাবেন। এগুলোর মধ্যে আপনি ড্রাই ফ্রুট অর্থাৎ শুকনো ফল রাখতে পারেন। যেমন - কিসমিস, বাদাম, কাজু, ইত্যাদি। ফলের মধ্যে আপনি কলা রাখতে পারেন অথবা ছোলা রাখতে পারেন। এছাড়া আপনি সাথে যে কোনো রকমের বিস্কুট রাখতে পারেন, কিন্তু সেগুলো যেন ময়দার না হয়। একটা কথা মনে রাখবেন কোনো মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা।
  • খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে এক-দুই গ্লাস জল খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ খাবার খেয়ে জল খাওয়ার অভ্যাস শরীরের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। এর মানে খাবার খাওয়ার অন্তত আধঘন্টা পর জল খাওয়া উচিত। খুব জল তেষ্টা পেলে অল্প পরিমানে জল খেতে পারেন। এছাড়া প্রত্যেক দু-ঘন্টা অন্তর অন্তর জল খেতে থাকবেন।
  • রাতে খাওয়ার সময় দই খাওয়ার অভ্যাস করবেন না। আর রাতে অল্প খাবার খেয়ে ঘুমাবেন। খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে যাবেন না। অনেক রাত পর্যন্ত জাগা অথবা রাতে দেরি করে খাওয়ার ফলে অম্বল বা acidity হয়ে থাকে। তাই এইসব অভ্যাসের উপর নজর রাখতে হবে।

আয়ুর্বেদের দ্বারা অম্বল দূর করার উপায় :-


  1. অম্বল দূর করার জন্য আমলকির ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আমলকির আচারও খেতে পারেন।
  2. দিনে দু-তিনটে তুলসী পাতা খেলে অম্বল দূর হয়ে যায় ।
  3. সকালে, দুপুরে এবং রাত্রে খাওয়ার পর গুড় অবশ্যই খাবেন। গুড় মুখে রেখে আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেলে আপনি অম্বলের সমস্যা থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি পেতে থাকবেন।
  4. এক কাপ জল গরম করুন এবং তাতে এক চামচ মৌরি মিশিয়ে দিন। এটাকে এবার সারারাত ঢেকে রেখে দিন। সকালে এই জলটাকে ছেঁকে এর মধ্যে এক চামচ মধু মিশিয়ে তিন বেলা খাওয়ার পরে এটা খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাহলে অম্বল এর সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

      এই ছিল কিছু আয়ুর্বেদিক উপায় যেগুলো প্রয়োগ করলে আপনি সম্পূর্ণ অম্বল-এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

SEE FULL IMAGE
এরকম আরো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.