|| গ্রিন-টি খাওয়ার উপকারিতা ||
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা :- গ্রীন-টি তে ভিটামিন সি এবং পলিফিনোল্স ছাড়াও অন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মজুত থাকে। যা শরীরের ফ্রী রাডিক্যালস-কে নষ্ট করে ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে এবং ছোটখাটো রোগ থেকে দূরে রাখে।
সুস্থ হার্ট :- গ্রিন-টি খেলে মেটাবয়লিজম-এর স্তর বেড়ে যায়। যার কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে রক্তচাপ সাধারণ থাকে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা খুব কম থাকে।
ওজন কমানো :- গ্রিন-টি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। খাওয়ার পরে এক কাপ গ্রিন-টি খেলে পাচন শক্তি বেড়ে যায়। গ্রিন-টি তে থাকা থাকা ক্যাফিন-এর কারণে ক্যালরি খরচ করার গতি বেড়ে যায়। যার ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করা :- মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে গ্রিন-টি। এছাড়া গ্রিন-টি মুখের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। গ্রিন-টি তে অক্সিকরন রোধী পলিফিনোল্স ভরপুর মাত্রায় থাকে। যা সেই তত্ত্বগুলোকে শেষ করে দেয় যেগুলো শ্বাস-প্রশ্বাসে ঝামেলা সৃষ্টি করে এবং দুর্গন্ধ তৈরি করে।
সুন্দর ত্বক :- গ্রিন-টি আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। গ্রীন-টি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি-রেডিক্যালস-এর হাত থেকে রক্ষা করে। ফ্রি-রেডিক্যালস হলো এমন একটা জিনিস যা আপনার ত্বকে বলিরেখা এবং বার্দ্ধক্য-এর মত সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই প্রত্যেক দিন নিয়মিত গ্রিন-টি খেলে আপনাকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত তরুণ লাগবে।
মানসিক চিন্তা :- যদি আপনার জীবনে গ্রিন-টি যুক্ত করে দেন, তাহলে আপনি চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বেশিরভাগ লোক চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চা খায়। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনি যদি বেশি চিন্তায় থাকেন এবং চিন্তা দূর করতে চান, তাহলে এক কাপ গ্রিন-টি খান। এটা আপনার পক্ষে বেশি উপকার। গ্রীন-টি তে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড আপনাকে চিন্তা থেকে দূর করতে অত্যন্ত সুবিধাজনক হয়ে থাকে।
তাহলে এগুলি ছিল গ্রিন-টি খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা। আপনি যদি আজ থেকে গ্রিন-টি খাওয়া শুরু করেন তাহলেআপনিও এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
এরকম আরো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে জানতে এই লিংকে
ক্লিক করুন।