Jul 23, 2020

কালোজিরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা | Some important benefits of black cumin

|| কালোজিরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা ||

রক্তচাপ :- কালোজিরে রক্তচাপ বা ব্লাডপ্রেসার-কে নিয়ন্ত্রণ করে। যদি আপনি রক্তচাপ নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত থাকেন সেটা কম বা বেশি হোক না কেন, তাহলে আপনি এক কাপ গরম জলের মধ্যে অর্ধেক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খাওয়া শুরু করে দিন। এতে আপনার রক্তচাপ বা ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।আপনি চাইলে ২৮ মিলিলিটার অলিভ অয়েল এবং এক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে পুরো শরীরে মালিশ করতে পারেন। আর মালিশ প্রায় আধঘন্টা ধরে করতে থাকুন। যদি রোদে বসে করেন তাহলে আরো বেশি ভালো। এই প্রক্রিয়া তিন দিন অন্তর অন্তর করলে ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
এজমা :-কালোজিরে এজমার ক্ষেত্রেও অনেক উপযোগী। কালোজিরাকে জলের মধ্যে ভালোভাবে ফুটিয়ে খেলে এজমার ক্ষেত্রে খুব ভালো প্রভাব পড়ে।
টাক বা চুল পড়া থেকে মুক্তি :- কালোজিরা আপনাকে চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। জ্বালানোর কালোজিরে যেকোনো হেয়ার অয়েল-এর সাথে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি নিয়মিত মাথায় মালিশ করতে থাকুন। আর যদি আপনার মাথায় টাক না থাকে, কিন্তু চুল পড়া শুরু হয়ে গেছে তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
ত্বকের সমস্যা :- কালোজিরা ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সক্ষম। কালোজিরার গুঁড়ো নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিজের ত্বক বা চামড়ার উপর মালিশ করতে থাকুন। আর যখন মালিশ করবেন তখন আপনার ত্বকের সমস্ত রোগ দূর হয়ে যাবে।
প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাত :- পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস একটা খুব খারাপ রোগ। কালোজিরার তেল এতেও অনেক সাহায্য করে। কালোজিরার তেল এক-চতুর্থাংশ চামচের মাত্রায় এক কাপ দুধের সাথে কিছু মাস পর্যন্ত নিয়মিত খেতে থাকুন। এছাড়া কালোজিরার তেল রোগগ্রস্থ অঙ্গে মালিশ করতে থাকুন। এতে প্যারালাইসিস ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যেতে থাকে।
ব্রণ থেকে মুক্তি :- কালোজিরা আপনাকে ব্রণ-এর হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। ভিনিগার এর সাথে কালোজিরা বেটে রাতে শোয়ার সময় মুখে লাগিয়ে দিন। সকালে উঠে মুখ ভালোভাবে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই ব্রন কমে যাবে।
কর্মশক্তি বাড়ায় :- কমলালেবুর শরবত-এর মধ্যে অর্ধেক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে নিয়মিত খেলে শরীরের অলস ভাব দূর হয়ে যায়।
হাড়ের জোড়ায় ব্যথা :- এক চামচ ভিনিগার, অর্ধেক চামচ কালোজিরার তেল এবং দুই চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খেলে হাড়ের জোড়ার ব্যথা সেরে যাবে।
বধিরতা থেকে মুক্তি :- কালোজিরার তেল কানে দিলে কানের ফোলা ভাব কমে যায় এবং বধিরতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ঠান্ডা-সর্দি থেকে মুক্তি :- কালোজিরা ভেজে কাপড়ের মধ্যে নিয়ে নাক দিয়ে টানলে বা কালোজিরার তেল এবং অলিভ অয়েল সমান মাত্রায় মিশিয়ে নাকের মধ্যে দিলে ঠান্ডা-সর্দি সেরে যায়। অর্ধেক কাপ জলে অর্ধেক চামচ কালোজিরার তেল এবং চার চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ফোটাতে হবে। যাতে জল শেষ হয়ে যায় কেবল তেল থেকে যায়। এবার এটাকে ছেঁকে দুই ফোঁটা নাকের মধ্যে দিলে ঠান্ডা-সর্দি সব সেরে যাবে।
        তাহলে এগুলো ছিল কালোজিরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা। আপনি আজ থেকেই এর প্রয়োগ শুরু করে দিতে পারেন।

এরকম আরো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।