গর্ভাবস্থার সময় কি খাওয়া উচিত বা অনুচিত | What to eat or not to eat during pregnancy

MOHAN SADHUKHAN
0

|| গর্ভাবস্থার সময় কি খাওয়া উচিত বা অনুচিত ||

         মা হওয়ার ইচ্ছা জীবনের সবচেয়ে বড় একটা স্বপ্ন হয়ে থাকে। আর যখন এই স্বপ্ন পূরণ হতে লাগে তখন কিছু কথা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের খাওয়া দাওয়া আমাদের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। কিন্তু কোনো মহিলা যদি গর্ভবতী হয়, তাহলে তার কি খাওয়া উচিত এবং অনুচিত এই ব্যাপারে অনেকেই অনেক রকম কথা বলবে। তাই তাদের কথা ছাড়ুন আর সেই কথা গুলো শুনুন যেগুলো ডাক্তার বলবে।

গর্ভাবস্থার সময় কি খাওয়া উচিত বা অনুচিত :-

  • গর্ভাবস্থার সময় মহিলাদের শাকসবজি এবং ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু মনে রাখবেন, এই সুযোগে পেঁপে এবং আনারস খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।
  • প্রোটিন এবং মিনারেল দিয়ে ভরপুর কাঁচা দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার। কিন্তু গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্তার শুরুতেই যেন ভুল করেও কাঁচা দুধ খাবেন না। এই সময় সর্বদা দুধ ফুটিয়ে খাওয়া উচিত।
  • গর্ভাবস্থার সময় মহিলাদের ছাঁচ বা নরম জিনিস অর্থাৎ পনির খাওয়া উচিত না। যদি পনির খেতে চান তাহলে আগে সুনিশ্চিত করুন যে, সেটা কি দুধ দিয়ে বানানো।
  • ধূমপান, মদ্যপান করা গর্ভে বড় হওয়া সন্তানের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই গার ব্যবস্থার সময় মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • ফলের রস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয়ে থাকে। কিন্তু গর্ভবতী মহিলাকে বাইরে বানানো ফলের রস খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এটা স্বচ্ছ ভাবে বানানো হয় না। এই সময় ঘরে বানানো যে কোনো ফলের রস খাওয়া উচিত।
  • গর্ভবতী মহিলাদের চা, কফি, কোল্ডড্রিংকস আর সফটড্রিংকস বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত না। এছাড়াও চকলেট খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • গর্ভাবস্থার সময় বেশি পরিমাণে ভিটামিন খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ডাক্তার যতটা ভিটামিন খাওয়ার কথা বলবে ঠিক ততটাই খাবেন।
  • যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন দোকানের মিষ্টি খাওয়া থেকে দূরে থাকতে। কারণ এতে আপনার সন্তানের সমস্যা হতে পারে।
  • কখনো মাংসের হাড় খাওয়া উচিত না। এটা পুষ্টিকর-এর পরিবর্তে রোগের সৃষ্টি করতে পারে। হয়তো এই কথাগুলো অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে, কিন্তু এটাই সত্যি। তাই এই অবস্থায় কোনো সময় মাছ, মাংস, ডিম্ খাওয়া উচিত নয়।
  •            তাহলে এগুলো ছিল কিছু পরামর্শ যেগুলো মেনে চললে আপনি এবং আপনার সন্তান দুজনেই সুস্থ থাকবেন।আর এগুলো আপনি পুরো ভরসার সাথে মেনে চলতে পারেন।

    এরকম আরো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Out
Ok, Go it!
To Top