|| আমাদের জীবনে জলের ভূমিকা ||
কখন জল খাওয়া উচিত এবং অনুচিত :-
খাবার খাওয়ার পর সাথে সাথেই জল খাওয়া মানে মনে রাখবেন বিষ খাওয়ার সমান। এতে পাকাশয়ের প্রদাহপূর্ণ শেষ হয়ে যেতে থাকে (যেটা খাবার পাচন করার পর শরীরকে মুখ্য শক্তি আর প্রাণ প্রদান করে)। এইজন্য এরকম করলে খাবার পাচনের পরিবর্তন গলে যেতে থাকে। এর থেকে বেশি মাত্রায় গ্যাস এবং অম্বল তৈরি হতে থাকে আর একটা দুশ্চক্র শুরু হয়ে যেতে থাকে। মহর্ষি বাঘ ভট্ট ১০৩ রকমের রোগ খুঁজে বের করেছেন যা ভোজন করার পর জল খাওয়ার কারনে হয়।- ভোজন করার আগে জল খাওয়া উচিত। আর এটা প্রায় ৪০ মিনিট আগে খাওয়া উচিত।
- খাওয়ার পরে মুখ এবং গলা পরিষ্কার করার জন্য খুব সামান্য পরিমান গরম বা উষ্ণ গরম জল যদি খাওয়া যায় তাহলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
- সকালে সবার প্রথমে জল খাবেন, এটা শরীরের তাপমাত্রা-কে গরম করে। আর জল সব সময় অল্প অল্প করে ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত। যাতে পেটে বেশি করে লালা যেতে পারে। লালা যেটা আপনার খাবার পাচন-এর কাজ করে।
- যদি আপনার খাবার খাওয়ার পরে প্রচন্ড তেষ্টা পায়, তাহলে সকালে খাবার পর লেবুর রস, দুপুরে খাবার পর দই বা ঘোল এবং রাতে খাবার পর দুধ খেতে পারেন। যদিও এতে জল থাকে কিন্তু এগুলো খাবার পাচন করতে সাহায্য করে।আর এটা কোনো শরীরের ক্ষতি করে না।
- যদি আপনি গরম জল খেতে না চান, তাহলে রাতে একটি তামার পাত্রে জল রেখে দিন। তামার পাত্রে জল রাখলে গরম জলের সমস্ত গুণ চলে আসে।এছাড়া কলসিতে রাখা জল গরম করে খাওয়া উচিত। ১৮ বছর বয়সের বেশি এবং ৬০ বছর বয়সের কম আয়ুর মানুষের দেড় থেকে দুই গ্লাস জল খাওয়া উচিত। এটা ছাড়া তিন গ্লাস জল সকালে খাওয়া উচিত।এই জলের পরিমাণ এতটাই যে, আপনার তেষ্টা না পেলেও খেতে পারবেন।
তাহলে আমরা জেনে নিলাম কখন কিভাবে জল খাওয়া উচিত এবং অনুচিত।তবে এটা নিশ্চিত যে জল খাওয়ার সময় এবং পদ্ধতি আপনার অবশ্যই পছন্দ হয়েছে।