|| তুলসী পাতার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা ||
তুলসী গাছ যেটাকে শত শত বছর ধরে ভারতীয় সংস্কৃতিতে পুজো করা হয়। তুলসী অনেক রূপেই আমাদের পক্ষে লাভজনক হয়ে থাকে এবং তুলসী পাতা আমাদের সুস্থ জীবন প্রদান করে।
তুলসী পাতার ব্যবহার :-
ঠান্ডা-সর্দির ক্ষেত্রে :- তুলসী পাতা ঠান্ডা-সর্দির ক্ষেত্রে অনেক উপকারী। তুলসী পাতা চায়ের মধ্যে দিয়ে খেলে ঠান্ডা-সর্দি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসী পাতা প্রচন্ড জ্বর কম করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী। বেশিরভাগ প্রায় সব কাশির ওষুধ তৈরীর ক্ষেত্রে তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়। তুলসীর পাতা সর্দি কমাতে সাহায্য করে। নরম তুলসির পাতা খেলে কাশি এবং হাঁচির থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
গলায় ব্যথা :- চায়ের পাতা ফোটানোর পরিবর্তে তুলসী পাতা দিয়ে ফোটানো জল খেলে গলার ব্যথা দূর হয়ে যায়। এছাড়া এই জল দিয়ে গারগিল করলে গলা পরিষ্কার হয়ে যায়। বাচ্চাদের জ্বর, কাশি এবং বমির মতো সামান্য সমস্যাগুলির জন্য তুলসী পাতা অত্যন্ত উপকারী।
কিডনি স্টোন :- তুলসী কিডনিকে মজবুত করতে সাহায্য করে। যদি কারোর কিডনিতে স্টোন থাকে, তাহলে তাকে মধুর সাথে তুলসী পাতা দিয়ে নিয়মিত খাওয়ানো উচিত। ৬ মাস পরেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
হৃদরোগ :- তুলসী পাতা হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত লাভবান। তুলসী রক্তে কোলেস্টেরল-এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে হৃদরোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।
মুখের দুর্গন্ধ :- শুকনো তুলসী পাতা সর্ষের তেলের মধ্যে মিশিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে শ্বাস-প্রশ্বাসে দুর্গন্ধ চলে যায়। এছাড়া পাইরিয়ার মত সমস্যাতেওঁ তুলসী অত্যন্ত কার্যকর।
মাথাব্যথা :- তুলসী পাতা মাথা ব্যথার সময় খুব ভালো ওষুধের মতো কাজ করে। মাথাব্যথা করলে তুলসী পাতার রস খেলে আরাম পাওয়া যায়। চোখ জ্বালা করলেও তুলসী পাতা অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়।
তাহলে এগুলো ছিল একটা ছোট তুলসী পাতার হুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আপনি যদি রোজ এই উপায়গুলি প্রয়োগ করেন তাহলে অবশ্যই এর ফল পাবেন। আর এগুলো আপনি পুরো বিশ্বাসের সাথে প্রয়োগ করতে পারেন। এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
এরকম আরো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে জানতে এই লিংকে
ক্লিক করুন।