সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বলিউড ক্যামেরা | Bollywood cameras

Home / গল্পে ও কথায় / Suman Saha / / বলিউড ক্যামেরা | Bollywood cameras

বলিউড ক্যামেরা | Bollywood cameras


"ছাল নাই কুত্তার নাম বাঘা " 
বলিউড! সত্যি বলছি জঙ্গলেও বোধহয় এরকম পশুরাজ চলে না, সেখানেও একটা নিয়ম শৃঙ্খলা আছে, এখানে সেটাও নেই। "ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি"! ভাবছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে গাড়ি, ঘড়ি তৈরী হয়? ভুল করছেন দাদা এখানে ওসব তৈরী হয় না, এখানে রঙ মাখা অযোগ্য লোকেরা সং সেজে কিভাবে আপনাকে মুরগি বানিয়ে গাড়ি, বাড়ি, নাম তৈরি করবে তার একটা সুন্দর মুখোশ তৈরি করা হয়। যে মানুষ গুলোকে ক্যামেরার সামনে দেখতে একরকম, আর বাস্তব জীবনে আরেকরকম।চার খান বরাহনন্দণ আছে এই চাল হীন ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা খুবই নগণ্য, কোনোটা বাদর মুখো তো কোনোটা প্রায় জোকার। আমরা, যারা আর কি পিওর আবাল, তারা আজ এদের অনেক বড়ো জায়গা দিয়ে দিয়েছি। এদের হাতে আমরাই অনেক অর্থ তুলে দিয়েছি,যার ওপর বসে এরা আজ পুরো চলচ্চিত্র জগৎটাকে নিজেদের বাপের সম্পত্তি মনে করছে। ডিরেক্টর থেকে প্রোডিউসার সব যুক্ত। মূর্খের হাতে টাকা আর ক্ষমতা তুলে দিলে একদিন না একদিন মানুষকে তার ফল ভুগতেই হবে, আর সেটাই ক্রমাগত ঘটে চলেছে।একের পর এক ঘটনা আমরা ঘটতে দেখছি বলিউড নামক এই জঙ্গলে। পরিবারকে ভাঙিয়ে খাওয়াড় রীতিটা ওপর থেকে নিচে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।এই খান ব্রাদার্স দের কাছ থেকে শিক্ষণীয় কোনো চলচ্চিত্র ভারতবর্ষ পেয়েছে কিনা সন্দেহ আছে,যদিও এক আধ বার চেষ্টা করে বিফল হয়েছে। যখনই একটু দেখার চেষ্টা করেছি তখন এটা পর্যেক্ষণ করেছি বার বার শুধু জৌলুস পূর্ণ এন্ট্রি, সিনেমা না ফ্যাশন শো বুঝতে কষ্ট হতো,এক শ্রেণীর মানুষ এটাই পছন্দ করে, তাই এরা এসব করে পার পেয়ে জায়। কেউ ভালো কিছু করতে চাইলে তাকে কিভাবে আটকে দেওয়া যায় তার একটা কৌশল এদের সুন্দর জানা।কোনটা সহজে বিক্রি হবে তার জন্য এরা জাখুশি করতে পারে। এই গোত্রের মানুষের সংখ্যাটা আজ বড়োই বেড়ে চলেছে।
নতুন কাওকে মেনে নেওয়ার প্রবণতা সমাজ জীবনে যেনো একটা বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। তুই আবার কবে থেকে অভিনয় করিস, তুই আবার কবে থেকে গান করিস, আরে তুই তো আগে আলু পটল বিক্রি করতিস থিয়েটারে কবে থেকে যুক্ত হলি? এই ধরনের মানুষের মুখে গোবর মাখানো জুতো দিয়ে দুটো বাড়ি দিতে পারলেও বধহয় বুকের জ্বালা কমবে না।একজন জ্ঞানী, শিক্ষিত মানুষ তাকে উৎসাহ দেবে আর সমাজের নিকৃষ্টতম মানুষ গুলো তাকে নিয়ে পরিহাস করবে। আরে বরাহোনন্দন অভিনয়, গান, আবৃত্তি, আঁকা যে কোনো শিল্প কর্ম তুই আজ যেটা প্রথম দেখলি সেটা ও ছোটো বেলা থেকে ভেতরে ভেতরে লালন পালন করে চলেছে,তার বহিঃপ্রকাশ আজ ঘটেছে তাই তুই এতো অবাক হচ্ছিস, সুযোগের অভাবে সামনে আসেনি।শিল্পী একদিনে হওয়া যায় না,সবাই হতেও পারে না, অনেক অধ্যবসায় এর মধ্যে দিয়ে তাকে এগোতে হয়, অনেক বাধা পেরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়।শিল্প জগতে পরিবারতন্ত্র, চাটুকারিতা অনেক আগে থেকেই আছে,এটা বন্ধ হওয়া একান্ত প্রয়োজন। রাজনীতিতেও অনেকাংশ দেখা যায়। বন্ধ হোক, নতুনকে সুযোগ দিন, শুধু অর্থ আর প্রতিপত্তির কথা নাভেবে সমাজের প্রতি একটু দায়িত্বশীল হোন। আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে সঠিক জিনিসটাকে বুঝে নিতে হবে। রিয়ালিটি শোতে গাইতে আসা একজন শিল্পী যার নিজের কোনো গান নেই, যাকে আগে মানুষ কখনো দেখেনি,জীবনে মঞ্চে ওঠেনি তাকে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ ব্যাবসাইক উদ্দেশ্যে রঙিন মোড়কে মুড়িয়ে আমাদের সামনে নিয়ে আসছে। আমরা বোকার মতো তাকে মেনে নিচ্ছি কারন কিছু সুবিধাবাদী প্রতিষ্ঠিত শিল্পী যাদের বিচারক নামে বড়ো আসন দেওয়া হচ্ছে তাদের নিজের স্বার্থের জন্য সমাজ আজ কি পাচ্ছে? একজন বিচারকের নিজের গানটা গাইছে তারই বিচার করা আসামি, তাও আবার তার থেকে বেশি পেমেন্টে। ভাবতে পারেন কিভাবে আমরা সমাজকে পিছিয়ে দিচ্ছি। এরকম ভাবে দ্বিচারিতা চলছে সর্বত্র,ভালো মানুষ গুলো হারিয়ে যাচ্ছে এই অযজ্ঞদের ভিড়ে।সমাজ ব্যাবস্থা কে গ্রাস করছে সার্থপর মানুষ। ছেলেটার একটা সিনেমাই দেখেছি, খুব ভালো লেগেছে, হইতো ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু পেতে পারতাম। মহেন্দর সিং ধোনি কে সুন্দর করে চিনতে সাহায্য করেছিল এই ছেলেটি, ধনিরও উচিৎ অর্থ ব্যয়ে ওর বায়ো পিক বানিয়ে বলিউডে একটা আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া। বুঝিয়ে দেওয়া উচিৎ সব মৃত্যু বিফলে যায় না।

                                       সুমন সাহা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Jani Pabona Lyrics, Imran | Shithee

Jani Pabona Song Is Sung by Imran And Shithee Sarker. Starring: Imran Mahmudul And Nadia Mim. Music Composed by Imran And Peye Haralam Debe Ke Daam Lyrics In Bengali Written by Snahashish Ghosh. Jani Pabona Song Credits: Song: Jani Pabona Singer: Imran & Shithee Sarker Lyrics: Snahashish Ghosh Tune & Music: Imran Mahmudul Director: Saikat Reza Dop: Bikash Saha Edit: Rejaul Raju Label: Central Music and Video [CMV] Jani Pabona Song Lyrics: পেয়ে হারালাম দেবে কে দাম ভেঙে যাওয়া এই ভালোবাসার, থাকবে হৃদয়ে বিষফোঁড়া হয়ে বয়ে বেড়াবো যন্ত্রনা ব্যেথার, আর কি কখনো একফোঁটা স্বপ্ন সাহসটা পাবো দেখার জন্য, জানি পাবোনা, জানি পাবোনা। পেয়ে হারালাম দেবে কে দাম ভেঙে যাওয়া এই ভালোবাসার, থাকবে হৃদয়ে বিষফোঁড়া হয়ে বয়ে বেড়াবো যন্ত্রনা ব্যেথার।। চলতে গিয়ে পথে যদি আবার দেখা হয়ে যায় তোমার আমার, মুখ ফিরিয়ে চলে যাবে জানি হয়তো পাশে থাকবে কেউ আর, তোমাকে ছোঁয়ার আর অধিকার জানি পাবোনা, জানি পাবোনা। পেয়ে হারালাম দেবে কে দাম ভেঙ্গে যাওয়া এই ভালোবাসার, থাকবে হৃদয়ে বিষফোঁড়া হয়...

গিলোই বা গুলঞ্চ এর উপকার ও ব্যবহার | Benefits and uses of Giloi or Gulach

গিলই গাছের পাতা এবং এর আয়ুর্বেদিক গুণ গিলই বা গুলঞ্চের উপকারিতা, ব্যবহার ও আয়ুর্বেদিক গুণ গিলই বা গুলঞ্চ একটি আয়ুর্বেদিক মহৌষধ, যা প্রাচীনকাল থেকে রোগ প্রতিরোধ, জ্বর নিরাময়, এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতিতে ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইমিউন-বুস্টিং গুণ এটিকে বিশেষ করে। এই পোস্টে আমরা গিলইয়ের উপকারিতা এবং ব্যবহার পদ্ধতি বিস্তারিত জানব। গিলইয়ের আয়ুর্বেদিক উপকারিতা রক্তস্বল্পতা দূর করে: গিলই রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে এবং অ্যানিমিয়া দূর করে। প্লীহার স্বাস্থ্য: প্লীহার রোগ নিরাময়ে গিলই অত্যন্ত উপকারী। পেটের সমস্যা: হজম সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, এবং পেটের রোগে গিলই কার্যকর। চোখের দৃষ্টিশক্তি: গিলই দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক। জ্বর নিরাময়: ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, বা বারবার জ্বর নিরাময়ে গিলই রামবাণ। লিভার ও ডায়াবেটিস: লিভারের স্বাস্থ্য এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। গিলইয়ের রস তৈরির প্রক্রিয়া গিলই কীভাবে ব্যবহার করবেন? রক্তাল্পতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিদিন সকালে ও বিকালে ১-...

গ্রীষ্মকাল চামড়ার ট্যান দূর করার সহজ উপায় | Natural way to remove tan

গ্রীষ্মকালে চামড়ার ট্যান দূর করার সহজ উপায় ট্যান দূর করতে প্রাকৃতিক উপায় গ্রীষ্মকাল শুরু হতে চলেছে এবং দেশের অনেক অংশেই গরমের আরম্ভ হয়ে গিয়েছে। প্রচণ্ড রোদে থাকার ফলে চামড়ার ওপর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে। রোদে থাকার কারণে চামড়ার কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এর ফলে চামড়ায় ট্যান পড়ে। মুখের ওপর এই কালো দাগগুলি আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এগুলি দূর করতে কস্মেটিক্স ব্যবহার করার চেয়ে প্রাকৃতিক ও গৃহস্থালির উপায় ব্যবহার করাই ভাল। দই এবং টমেটোর ফেস প্যাক দই এবং টমেটো চামড়ার ট্যান দূর করতে এবং নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। দুই চামচ দই এবং এক চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি চামড়ায় লাগিয়ে 20-25 মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। More Articles on this topic লেবুর রস লেবুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ থাকে, যা চামড়ার ট্যান দূর করতে খুব কার্যকর। নিম্বুর এসিড চামড়ায় হওয়া টান দূর করে এবং চামড়ায় উজ্জ্বলতা আনে। নিম্বুর রস কাপড়ের সাহায...