|| কারি পাতা খাওয়ার দশটি সুবিধা ||
ডাল, সবজির স্বাদ বাড়ানোর জন্য কারি পাতার ব্যবহার অনেক আগে থেকেই ভারতে প্রচলিত হয়ে আসছে। এর ৪-৫ টা পাতা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। কিন্তু এর মধ্যে অনেক ঔষুধী গুন আছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত লাভবান। তাই এখানে কারিপাতা ব্যবহারের ১০টি সুবিধার কথা বলা হয়েছে, যা আপনাকে সুস্থ রাখার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কারিপাতার ব্যবহার :-
- ঘা হলে বা কোথাও পুড়ে গেলে কারি পাতা ব্যবহার করা যায়। এটা ব্যবহার করলে ঘা বা পোড়া তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
- নারকেল তেলের মধ্যে কারি পাতা দিয়ে গরম করুন, যতক্ষণ না সেটা কালো হয়ে যাবে। তারপর সেটা চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মেখে নিন এতে চুল মোলায়েম এবং উজ্জ্বল হবে।
- ডায়াবেটিস বা সুগার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিদিন সকালে নিয়মিত দশটা কারিপাতা অবশ্যই খান। তিন মাস পর্যন্ত আপনি যদি এইভাবে খেতে থাকেন তাহলে সুগারের ক্ষেত্রে অনেক লাভ হবে।
- আপনি যদি আপনার বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং কোন উপায় পাচ্ছেন না। তাহলে রোজ কিছু কারিপাতা খাওয়া শুরু করে দিন।
- ডায়রিয়া, আমাশয় এবং পাইলস হলে কিছু নরম কারিপাতা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার হবে।
- কারি পাতার মূলে ঔষধি গুণ থাকে। এটা কিডনি রোগীদের জন্য সুবিধাজনক বলে মনে করা হয়। আর ঔষধি গুণের কারণেই কিডনি রোগীদের অনেকসময় সুস্থ করে দিয়েছে।
- যদি আপনার চুল পড়ে যেতে থাকে এবং হঠাৎ করেই সাদা হয়ে যেতে থাকে, তাহলে আপনি কারি পাতা খাওয়া শুরু করে দিন। আপনি চাইলে সকাল-সন্ধ্যায় এটা গুঁড়ো করে খেতে পারেন। তবে বেশি মাত্রায় খাওয়া যাবেনা, এক চামচ-এর থেকেও কম খেতে হবে।
- কারি পাতা আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়াতে কাজে লাগে। যদি আপনি কোনো জিনিস কম দেখতে শুরু করেন। অথবা, আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে গেছে তাহলে আপনি কারি পাতা খাওয়া শুরু করে দিন। এছাড়া চোখে ছানি পড়া সমস্যাও কারি পাতার সাহায্যে দূর করা যায়।
- বমি এবং বদহজম হলে কারি পাতাকে লেবুর রস এবং চিনির সাথে খেলে উপকার হবে।
- পেটে কোনো সমস্যা হলে কারিপাতা-কে গুঁড়ো করে ঘোলের সাথে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
তাহলে এই ছিল কারি পাতা খাওয়ার কিছু সুবিধা। আপনি এগুলো পুরো ভরসার সাথে প্রয়োগ করতে পারেন।
এরকম আরো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে জানতে এই লিংকে
ক্লিক করুন।