সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচার উপায়

Home / আয়ুর্বেদ / Ayurved Tips / survival from dengue / / আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচার উপায়

আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ডেঙ্গুর হাত থেকে বাচার উপায়

       

Ayurvedic method of survival from dengue

            বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেছে আর এই সময় ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও না কোথাও এটা একটা নির্দেশ দিচ্ছে আমাদেরকে আরো সাবধান থাকার। এখন থেকেই ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচার উপায় শুরু করুন। আর একের পর এক জন এই রোগে আক্রান্ত হতে থাকে। তাহলে আমরা যদি ডেঙ্গু হওয়ার আগেই সচেতন হয়ে যাই, তাহলে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম হয়ে যায়। প্রথমে আমরা জেনে নেই যেসব মশা ডেঙ্গু ছড়ায় তারা দেখতে কেমন হয়, আর এরা ডেঙ্গু রোগ কিভাবে ছড়ায়।
         মহিলা এডিস এজিপ্টি মশার কামড়ের ফলে এই ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়। এটাকে অনেকে 'ব্রেকবন জ্বর' নামেও জেনে থাকে। এছাড়া এটা অনেক যন্ত্রণাদায়ক এবং মানুষকে প্রচন্ড দুর্বল করে দেয়। মশা কামড়ানোর ৪-১০ দিন পরে এর উপসর্গ দেখা যায়। বেশিরভাগ মশা সকালে এবং সন্ধ্যা বেলাতাই কামড়ায় এবং সংক্রমণ ছড়ায়। কিন্তু এটা একদম ভুল যে, এই মশা দিনের বেলা কামড়ায় না। এই মশা দিনের বেলাতেও কামড়ায় কিন্তু খুব কম মাত্রায়। ডেঙ্গু মশা যে ভাইরাস ছড়ায় তা অন্যকিছুর তুলনায় মানুষের পক্ষে বেশি ক্ষতিকারক। ডেঙ্গু ছড়ানো মহিলা মশা মানুষের শরীর থেকে রক্ত নেওয়ার সময় ডেঙ্গুর ভাইরাস ছেড়ে দেয়। আর ২ - ১০ দিনের মধ্যে শরীরে এই ভাইরাস ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গু রোগ এক শরীর থেকে অন্য শরীরে রক্ত দেওয়ার সময় স্থানান্তর হয়ে যায়। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে মায়ের থেকে তার সন্তানের দেহেও ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

  ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ কি কি :-

  •   ঠান্ডা লাগার সাথে সাথে হঠাৎই তীব্র জ্বর আসা।
  •   মাথা, মাংসপেশী তথা হাড়ের জয়েন্টে যমন্ত্রণাদায়ক ব্যথা হওয়া।
  •   প্রচণ্ড দুর্বল ভাব খিদে না পাওয়া এবং বমি বমি ভাব।
  •   মুখে কোন খাবারের স্বাদ না পাওয়া এবং গলায় হালকা হালকা ব্যথা করা।
  •   রোগী খুব দুঃখ এবং অসুস্থ অনুভব করে।
  •   পুরো শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ি হওয়া, মুখ, গলা এবং বুকে ফুসকুড়ি হওয়া। পরে এই ফুসকুড়ি আরো স্পষ্ট বোঝা যায়।
  তাহলে আপনাকে এখন জানাই ডেঙ্গু রোগ ছড়ানো মহিলা মশার ব্যাপারে :-
         ডেঙ্গু মশা আপনার আশেপাশে রাখা জলের মধ্যে ডিম দেয়। যেমন - ফুলদানি, গামলা আরো অনেক কিছু যেখানে জল জমা থাকে। ডেঙ্গু মশা এরকম জায়গায় ডিম পারে কারণ তারা মানুষের আশেপাশে থাকতে পারে। তাহলে এটা পরিষ্কার যে আশেপাশে কোনোরকম জল জমতে দেওয়া যাবে না। আর যদি জমতে থাকে তাহলে দু'দিন অন্তর অন্তর জল পাল্টান যাতে মশা ডিম দিতে না পারে।

  আপনি কিভাবে ডেঙ্গুর থেকে বাঁচতে পারেন :–
  • সকালে এবং সন্ধ্যায় সবসময় ঘরেই থাকবেন আর ফুল হাতা জামা পরে থাকুন। আর বাচ্চাদের সকালে এবং সন্ধ্যায় কোথাও ঘুরতে যেতে দেবেন না।
  • আশেপাশে কোন জায়গায় জল জমতে দেবেন না। যদি জল পরিষ্কার করা সম্ভব না হয়, জলে কেরোসিন তেল ঢেলে দেবেন।
  • মশা কামড়ানোর প্রথম ১-২ দিনের মধ্যে কিছু বোঝা যাবে না। তারপর ২-৮ দিনের মধ্যে এই রোগের উপসর্গগুলো দেখা যাবে। রোগীর দেহে জ্বর, সারা শরীর ব্যথা শুরু হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেবেন এবং চিকিৎসা করা শুরু করে দিন। ডেঙ্গুর ফলে শরীরে প্লেটলেট সংখ্যা কমতে থাকে। এর খুব তাড়াতাড়ি কমার কারণে রোগী মারাও যেতে পারে। তাই চিকিৎসার সাথে আছে অধিক মাত্রায় তরল পান করতে হবে। যেমন- যে কোনো ফলের রস, নারকেলের জল। এর সাথে কিউই-এর মত ফল খেতে পারেন।
ডেঙ্গু হলে কি কি সাবধানতা মানবেন:-
  • প্যারাসিটামল বা শরবত খেয়ে জ্বর কমাতে পারেন।
  • যদি জ্বর 102°F এর থেকে বেশি হয় তাহলে জ্বর কমানোর জন্য জলপট্টি দেওয়া শুরু করুন।
  • রোগীকে কখনোই ডিসপ্রিন এবং এসপ্রিন ওষুধ দেওয়া যাবে না।
  • রোগীকে সব সময় নারকেলের জল খাওয়াতে হবে।
  • ছাগলের কাঁচা দুধ খাওয়া ডেঙ্গুর জন্য উপকারী।
  • ডেঙ্গু হলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান। কারণ এর গাফিলতি করলে রোগীর সমস্যা বাড়তে পারে।  
       তাহলে এগুলো ছিল ডেঙ্গু থেকে বাঁচার এবং সচেতন থাকার কিছু উপায়। আর আপনি যদি একটু সাবধান থাকেন তাহলে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Jani Pabona Lyrics, Imran | Shithee

Jani Pabona Song Is Sung by Imran And Shithee Sarker. Starring: Imran Mahmudul And Nadia Mim. Music Composed by Imran And Peye Haralam Debe Ke Daam Lyrics In Bengali Written by Snahashish Ghosh. Jani Pabona Song Credits: Song: Jani Pabona Singer: Imran & Shithee Sarker Lyrics: Snahashish Ghosh Tune & Music: Imran Mahmudul Director: Saikat Reza Dop: Bikash Saha Edit: Rejaul Raju Label: Central Music and Video [CMV] Jani Pabona Song Lyrics: পেয়ে হারালাম দেবে কে দাম ভেঙে যাওয়া এই ভালোবাসার, থাকবে হৃদয়ে বিষফোঁড়া হয়ে বয়ে বেড়াবো যন্ত্রনা ব্যেথার, আর কি কখনো একফোঁটা স্বপ্ন সাহসটা পাবো দেখার জন্য, জানি পাবোনা, জানি পাবোনা। পেয়ে হারালাম দেবে কে দাম ভেঙে যাওয়া এই ভালোবাসার, থাকবে হৃদয়ে বিষফোঁড়া হয়ে বয়ে বেড়াবো যন্ত্রনা ব্যেথার।। চলতে গিয়ে পথে যদি আবার দেখা হয়ে যায় তোমার আমার, মুখ ফিরিয়ে চলে যাবে জানি হয়তো পাশে থাকবে কেউ আর, তোমাকে ছোঁয়ার আর অধিকার জানি পাবোনা, জানি পাবোনা। পেয়ে হারালাম দেবে কে দাম ভেঙ্গে যাওয়া এই ভালোবাসার, থাকবে হৃদয়ে বিষফোঁড়া হয়...

গিলোই বা গুলঞ্চ এর উপকার ও ব্যবহার | Benefits and uses of Giloi or Gulach

গিলই গাছের পাতা এবং এর আয়ুর্বেদিক গুণ গিলই বা গুলঞ্চের উপকারিতা, ব্যবহার ও আয়ুর্বেদিক গুণ গিলই বা গুলঞ্চ একটি আয়ুর্বেদিক মহৌষধ, যা প্রাচীনকাল থেকে রোগ প্রতিরোধ, জ্বর নিরাময়, এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতিতে ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইমিউন-বুস্টিং গুণ এটিকে বিশেষ করে। এই পোস্টে আমরা গিলইয়ের উপকারিতা এবং ব্যবহার পদ্ধতি বিস্তারিত জানব। গিলইয়ের আয়ুর্বেদিক উপকারিতা রক্তস্বল্পতা দূর করে: গিলই রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে এবং অ্যানিমিয়া দূর করে। প্লীহার স্বাস্থ্য: প্লীহার রোগ নিরাময়ে গিলই অত্যন্ত উপকারী। পেটের সমস্যা: হজম সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, এবং পেটের রোগে গিলই কার্যকর। চোখের দৃষ্টিশক্তি: গিলই দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক। জ্বর নিরাময়: ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, বা বারবার জ্বর নিরাময়ে গিলই রামবাণ। লিভার ও ডায়াবেটিস: লিভারের স্বাস্থ্য এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। গিলইয়ের রস তৈরির প্রক্রিয়া গিলই কীভাবে ব্যবহার করবেন? রক্তাল্পতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিদিন সকালে ও বিকালে ১-...

গ্রীষ্মকাল চামড়ার ট্যান দূর করার সহজ উপায় | Natural way to remove tan

গ্রীষ্মকালে চামড়ার ট্যান দূর করার সহজ উপায় ট্যান দূর করতে প্রাকৃতিক উপায় গ্রীষ্মকাল শুরু হতে চলেছে এবং দেশের অনেক অংশেই গরমের আরম্ভ হয়ে গিয়েছে। প্রচণ্ড রোদে থাকার ফলে চামড়ার ওপর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে। রোদে থাকার কারণে চামড়ার কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এর ফলে চামড়ায় ট্যান পড়ে। মুখের ওপর এই কালো দাগগুলি আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এগুলি দূর করতে কস্মেটিক্স ব্যবহার করার চেয়ে প্রাকৃতিক ও গৃহস্থালির উপায় ব্যবহার করাই ভাল। দই এবং টমেটোর ফেস প্যাক দই এবং টমেটো চামড়ার ট্যান দূর করতে এবং নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। দুই চামচ দই এবং এক চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি চামড়ায় লাগিয়ে 20-25 মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। More Articles on this topic লেবুর রস লেবুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ থাকে, যা চামড়ার ট্যান দূর করতে খুব কার্যকর। নিম্বুর এসিড চামড়ায় হওয়া টান দূর করে এবং চামড়ায় উজ্জ্বলতা আনে। নিম্বুর রস কাপড়ের সাহায...