Home
/
আয়ুর্বেদ
/
Ayurved Tips
/
survival from dengue
/
/
আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচার উপায়
আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে ডেঙ্গুর হাত থেকে বাচার উপায়
Ayurvedic method of survival from dengue
ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ কি কি :-
- ঠান্ডা লাগার সাথে সাথে হঠাৎই তীব্র জ্বর আসা।
- মাথা, মাংসপেশী তথা হাড়ের জয়েন্টে যমন্ত্রণাদায়ক ব্যথা হওয়া।
- প্রচণ্ড দুর্বল ভাব খিদে না পাওয়া এবং বমি বমি ভাব।
- মুখে কোন খাবারের স্বাদ না পাওয়া এবং গলায় হালকা হালকা ব্যথা করা।
- রোগী খুব দুঃখ এবং অসুস্থ অনুভব করে।
- পুরো শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ি হওয়া, মুখ, গলা এবং বুকে ফুসকুড়ি হওয়া। পরে এই ফুসকুড়ি আরো স্পষ্ট বোঝা যায়।
তাহলে আপনাকে এখন জানাই ডেঙ্গু রোগ ছড়ানো মহিলা মশার ব্যাপারে :-
ডেঙ্গু মশা আপনার আশেপাশে রাখা জলের মধ্যে ডিম দেয়। যেমন - ফুলদানি, গামলা আরো অনেক কিছু যেখানে জল জমা থাকে। ডেঙ্গু মশা এরকম জায়গায় ডিম পারে কারণ তারা মানুষের আশেপাশে থাকতে পারে। তাহলে এটা পরিষ্কার যে আশেপাশে কোনোরকম জল জমতে দেওয়া যাবে না। আর যদি জমতে থাকে তাহলে দু'দিন অন্তর অন্তর জল পাল্টান যাতে মশা ডিম দিতে না পারে।আপনি কিভাবে ডেঙ্গুর থেকে বাঁচতে পারেন :–
- সকালে এবং সন্ধ্যায় সবসময় ঘরেই থাকবেন আর ফুল হাতা জামা পরে থাকুন। আর বাচ্চাদের সকালে এবং সন্ধ্যায় কোথাও ঘুরতে যেতে দেবেন না।
- আশেপাশে কোন জায়গায় জল জমতে দেবেন না। যদি জল পরিষ্কার করা সম্ভব না হয়, জলে কেরোসিন তেল ঢেলে দেবেন।
- মশা কামড়ানোর প্রথম ১-২ দিনের মধ্যে কিছু বোঝা যাবে না। তারপর ২-৮ দিনের মধ্যে এই রোগের উপসর্গগুলো দেখা যাবে। রোগীর দেহে জ্বর, সারা শরীর ব্যথা শুরু হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেবেন এবং চিকিৎসা করা শুরু করে দিন। ডেঙ্গুর ফলে শরীরে প্লেটলেট সংখ্যা কমতে থাকে। এর খুব তাড়াতাড়ি কমার কারণে রোগী মারাও যেতে পারে। তাই চিকিৎসার সাথে আছে অধিক মাত্রায় তরল পান করতে হবে। যেমন- যে কোনো ফলের রস, নারকেলের জল। এর সাথে কিউই-এর মত ফল খেতে পারেন।
ডেঙ্গু হলে কি কি সাবধানতা মানবেন:-
- প্যারাসিটামল বা শরবত খেয়ে জ্বর কমাতে পারেন।
- যদি জ্বর 102°F এর থেকে বেশি হয় তাহলে জ্বর কমানোর জন্য জলপট্টি দেওয়া শুরু করুন।
- রোগীকে কখনোই ডিসপ্রিন এবং এসপ্রিন ওষুধ দেওয়া যাবে না।
- রোগীকে সব সময় নারকেলের জল খাওয়াতে হবে।
- ছাগলের কাঁচা দুধ খাওয়া ডেঙ্গুর জন্য উপকারী।
- ডেঙ্গু হলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান। কারণ এর গাফিলতি করলে রোগীর সমস্যা বাড়তে পারে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন