|| আয়ুর্বেদিক উপায়ে ত্বকের বলিরেখা থেকে মুক্তি ||
আমাদের জীবনে আমরা সবাই চায় যে, আমাদের চেহারা সব সময় সুন্দর ও উজ্জ্বল লাগে এবং তরুণ লাগে। কিন্তু এরকম অনেক কষ্ট করে হয়। আমরা নিজেদের চেহারার দিকে বেশি খেয়াল করতে পারি না, আর তার ওপর উল্টোপাল্টা খাওয়া-দাওয়া। যার ফলে আমাদের স্বাভাবিক বয়সের থেকে আরো বেশি বয়স্ক দেখায়। আমাদের স্বাভাবিক বয়সের থেকে বয়স্ক দেখানোর ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আমাদের ত্বকের ভাঁজ বা বলিরেখা। এটা এমন একটা জিনিস যেটা আপনাকে কম বয়সে অনেক বয়স্ক দেখাবে।
অল্প বয়সে ত্বকের ভাঁজ বা বলিরেখা থেকে মুক্তির উপায় :-
মধু :- রোজ নিয়মিত সকালে মুখে মধু মেখে প্রায় ২০ মিনিট রেখে দিন।তারপর সেটা শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি এটা রোজ নিয়ম অনুযায়ী করতে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই উপকার হবে।
অ্যাভোকাডো :- অ্যাভোকাডো হয়তো একটু দামি হতে পারে। কিন্তু এটা ত্বকের ভাঁজ বা বলিরেখার জন্য যথেষ্ট লাভবান। অ্যাভোকাডো-এর মুখের জালি অর্থাৎ ফেস মাস্ক বানানোর জন্য অ্যাভোকাডোর এক-চতুর্থাংশ ক্রিম পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর এটা পুরো মুখ থেকে গলা পর্যন্ত ভালোভাবে মেখে নিন। প্রায় ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে হালকা উষ্ণ গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি এরকম সপ্তাহে এক-দু বার করতে থাকেন তাহলে আপনার ত্বকের ভাঁজ বা বলিরেখা সবকিছু দূর হয়ে যাবে।
ভিটামিন E-এর ওষুধ :- আপনি হয়তো জানেন ভিটামিন-ই ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ সৌন্দর্য পণ্যতে ভিটামিন-ই ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি এসব বিষয় জেনে থাকেন, তাহলে জানেন ভিটামিন-ই ক্যাপসুল যেটা ওষুধের দোকানে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। আর এটা যদি আপনি সঠিকভাবে প্রয়োগ করেন, তাহলে আপনার ত্বককে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে রাখতে সাহায্য করবে। এই ক্যাপসুল এর মধ্যে থেকে ভিটামিন-ই এর তত্ত্ব বের করে, তাতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে দিন। তারপর প্রায় আধঘন্টা পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ক্যাস্টর অয়েল :- রাতে শোয়ার সময় মুখে ক্যাস্টর অয়েল মেখে শুয়ে পড়ুন। তাহলে আপনি ত্বকে ভাঁজ এবং কালো দাগের থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া চোখের পাশে কালো ছাপ থেকে মুক্তি পাবেন।
দই :- মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার পর এক চামচ দই, এক চামচ মধু, এক চামচ কমলা লেবুর রস, এবং অর্ধেক কলা একসাথে মিশিয়ে নিন। তারপর এই পেস্টকে ভালোভাবে নিজের মুখে মেখে নিন। এর প্রায় ২০ মিনিট পরে শুকিয়ে যাওয়ার পর গরম জলে ভেজানো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। এরপর মুখে ময়েশ্চারাইজার মেখে ত্বকের আদ্রতাকে আটকে দিন। দই এবং মধু আপনার ত্বকে যে রোমছিদ্র আছে সে গুলোকে বন্ধ করে দেয়, কমলালেবুর রস ত্বকের ভাঁজ বা বলিরেখা উপর প্রভাব ফেলে এবং কলা ত্বককে আদ্রতা প্রদান করে। এই তিনটে একসাথে অ্যান্টি এজিং-এর কাজ করে।
তাহলে এই ছিল কিছু আয়ুর্বেদিক পরামর্শ যা প্রয়োগ করলে আপনি কুচকানো ত্বক বা বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এগুলো আপনি সম্পূর্ণ ঘরে বসেই প্রয়োগ করতে পারবেন।
এরকম আরো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে জানতে এই লিংকে
ক্লিক করুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন