Jul 20, 2020

চারটি রিফাইন জিনিস আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক | Four refined things are extremely harmful to our body

|| চারটি রিফাইন জিনিস আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক ||

       
         আজকাল আমরা এতটা ব্যস্ত হয়ে গেছি যে, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল করতে পারি না। আর এখন বেশিরভাগ সব জিনিসেই ভেজাল। এর থেকে বাঁচার জন্য লোকজনেররা নতুন নাম বের করেছে। হ্যাঁ, এখানে রিফাইন-এর কথা বলা হচ্ছে। কোনো জিনিসের উপর রিফাইন্ড লাগানো থাকলে আমরা ভাবি সেটা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার। একটু খেয়াল রাখুন, কারণ এই রিফাইন আপনাকে আরও অসুস্থ করে দিচ্ছে। আমাদেরকে অসুস্থ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই রিফাইন। যদি আপনি এই চারটি বিষ-কে আপনার জীবন থেকে বাদ দিয়ে দেন, তাহলে আপনি সবসময় সুস্থ-সবল এবং নীরোগ থাকবেন। রিফাইন-ই হলো রোগের সবচেয়ে বড় কারন। তাহলে জেনে নিন, কেন রিফাইন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
রিফাইন লবণ :- সব কোম্পানির রিফাইন লবণ বন্ধ করে দেন এবং এর বদলে প্রাকৃতিক সৈন্ধব লবণ ব্যবহার করুন। রিফাইন লবণ থেকে পুরুষত্বহীনতা, বন্ধ্যাত্ব এবং থাইরয়েড ইত্যাদি রোগ হতে পারে। রিফাইন করার সময় এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক পদার্থ দেওয়া হয়। যার ফলে লবণের মৌলিকত্ব নষ্ট হয়ে যায় এবং এটা আপনার শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগের জন্ম দেয়।
রিফাইন তেল :- সাফোলা, সূর্যমুখী, সোয়াবিন, ধানের তুষ থেকে তৈরি তেল ইত্যাদি এগুলো সব সাংঘাতিক বিষ। এর পরিবর্তে কাচ্চিঘানি তেল ব্যবহার করা উচিত। রিফাইন তেল থেকে ক্যান্সার, রক্তাল্পতা, পুরুষত্বহীনতা, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট-এ বাঁধা মস্তিষ্কের ক্ষতি, প্যারালাইসিস, কিডনি, লিভার, হাড়ের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যাওয়া বা গলে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, চুলের এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ইত্যাদি রোগ শুরু হতে থাকে।এর মানে আপনি যদি রিফাইন তেল-এর ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার জীবনে সবসময় রোগ হতেই থাকবে। তাই আপনি রিফাইন তেল ছেড়ে দিন এবং কাচ্চিঘানি তেল ব্যবহার করা শুরু করে দিন।
রিফাইন চিনি :- আপনি বাজারে বেশিরভাগ চিনি রিফাইন-ই পাবেন। কেননা চিনি পরিষ্কার এবং চকচকে করার জন্য রিফাইন করতে হয়। তাই আপনি এর পরিবর্তে মিস্ত্রি ব্যবহার করতে পারেন বা যতটা সম্ভব হয় গুড়ের ব্যবহার করুন। তাহলে আপনি অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। মনে রাখবেন চিনির বেশি ব্যবহার ডায়াবেটিস বা সুগারের মুখ্য কারণ মানা হয়।
রিফাইন আটা :- এখানে রিফাইন আটা বলতে ময়দা-কে বোঝানো হয়েছে। ময়দা থেকে তৈরি বিভিন্ন জিনিস যদি আপনি নিয়মিত খাওয়া শুরু করে দিয়েছেন, তাহলে এটা রোগের জন্য একটা নিমন্ত্রণ পত্র। তাই আপনি ময়দার ব্যবহার অনেক কম মাত্রায় করুন। আর নুডুলস যেগুলো ময়দা দিয়ে তৈরি হয়েছে সেগুলো আপনার বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখুন এবং নিজেও এর প্রয়োগ বন্ধ করুন। আপনি ময়দার পরিবর্তে গম, বার্লি, ছোলা, বাজরা, জোয়ার, ভুট্টা, চাল ইত্যাদি ব্যবহার করুন। আর এর থেকে স্থূলতা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি রোগ হতে থাকে।
   তাহলে এই ছিল রিফাইন-এর ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য। এই চারটি রিফাইন এরকমই যে, আপনি যদি আপনার জীবন থেকে বাদ দিয়ে দেন তাহলে অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।

এরকম আরো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।