|| আয়ুর্বেদিকে অশ্বগন্ধা খাওয়ার কিছু উপকারিতা ||
অশ্বগন্ধা টমেটোর মতো কোনো গাছে বা ঝোপে হয়ে থাকে। এতে ফ্লেভিনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর মত অনেক উপকারী তত্ত্ব থাকে। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, এটি মস্তিষ্কে নিউরোলজিক্যাল ট্রান্সমিশন-এ উন্নতি আনতে সাহায্য করে। জেনে নিন অশ্বগন্ধা আমাদের কিভাবে লাভ করতে পারে। অশ্বগন্ধার ব্যবহার কোনো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পরই করুন। কারণ এর মাত্রা আপনার শরীরের অনুসারে আপনার ওজন, বয়স এবং শরীরের ভেতরের অবস্থার উপরও নির্ভর করে।
অশ্বগন্ধা খাওয়ার উপকারিতা :-
আলজাইমার রোগের চিকিৎসা :- অশ্বগন্ধা আলজাইমার রোগের চিকিৎসার জন্য সহায়ক হতে পারে। বিশেষজ্ঞ ফিলিস বালচ-এর মতে এই জরিবুটি মানসিকভাবে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। আক্টিক্লোরাইড যা শরীরের বিভিন্ন তন্ত্র এবং কোষের মধ্যে বার্তা পৌঁছে দেওয়া কাজ করে এবং সংশোধন করে। এটি আশ্চর্যজনকভাবে মস্তিষ্কের কোষগুলো নষ্ট হওয়ার থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।এছাড়া স্মৃতিশক্তিকে আরও মজবুত করার জন্যেও উপকারী।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী :- গর্ভবতী মাতাদের অশ্বগন্ধা খাওয়ার জন্য অত্যাধিক সুপারিশ করা হয়েছে। এটি মায়েদের রক্ত শুদ্ধ করতে এবং তার প্রতিরক্ষা প্রণালী অর্থাৎ অর্থাৎ ইমিউনিটি সিস্টেম মজবুত করতে সাহায্য করে। পারম্পরিক আয়ুর্বেদিক ওষুধের মধ্যে অশ্বগন্ধা চা-এর সাথে প্রয়োগ গর্ভাশয়-এর জন্য অত্যন্ত লাভকারী।
বার্ধক্য-এর ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা :- অশ্বগন্ধা বার্ধক্যের জন্য লাভকরী এবং এটা উদ্দীপকের পুনর্জনম-কে বাড়ায় অর্থাৎ নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। যার ফলে আপনার বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া ধীর গতিতে হতে থাকে। এটা মস্তিষ্ক এবং শরীরকে চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এছাড়া আপনাকে তরুণ, ভারসাম্য এবং শক্তিশালী প্রদান করতে থাকে।
মনকে শান্ত করতে অশ্বগন্ধা :- অশ্বগন্ধাকে এক প্রকার শান্তিদায়ক রূপেও জানা হয়ে থাকে। কারণ এটা মনকে শান্ত করে এবং আরামদায়ক ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে। এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় চিন্তা কমানো এবং ধৈর্য শক্তি বাড়ানোর ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
তাহলে এগুলো ছিল অশ্বগন্ধা খাওয়ার কিছু উপকারিতা। যেগুলো আপনি পুরো বিশ্বাসের সাথে প্রয়োগ করতে পারেন।
এরকম আরো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে জানতে এই লিংকে
ক্লিক করুন।