Home
/
আয়ুর্বেদ
/
Advice to keep the body healthy
/
Ayurved Tips
/
/
আয়ুর্বেদিক উপায়ে শরীরকে সুস্থ রাখার কিছু পরামর্শ
|| আয়ুর্বেদিক উপায়ে শরীরকে সুস্থ রাখার কিছু পরামর্শ ||
আমরা আমাদের জীবনে যদি ছোট ছোট সাবধানতা রাখি তাহলে আমাদের জীবন সুস্থ ও শরীর নীরোগ হয়ে যায়। সেরকমই কিছু আয়ুর্বেদিক টিপস নিচে বলা হয়েছে যেটাতে আপনার সময় এবং টাকা কোনটাই নষ্ট হবে না। শুধুমাত্র আপনার কিছু অভ্যাস-এর পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
তাহলে জেনে নিন নিজেকে সুস্থ রাখার কিছু পরামর্শ-
- প্রয়োজনের বেশি জল না খাওয়া : জল খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। পর্যাপ্ত জল শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর করে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল খাওয়া শরীরে পক্ষে ক্ষতি হতে পারে। তাই নিজের শরীরে প্রয়োজনটা বুঝতে হবে এবং ততটাই জল খাওয়া উচিত যতটা দরকার।
- নিত্য শৌচকর্ম : যারা প্রতিদিন নিয়মিত শৌচকর্ম করে তারা বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকে। যে নিয়মিত দিনের শুরুতে শৌচকর্ম করার অভ্যাস রাখে সে বেশি সুস্থ থাকে। আর যে চাপ আসার পরেও শৌচকর্ম করে না তার শরীরে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- দিনের বেলা ঘুমানো : দিনের বেলা ঘুমানো রোগের সবচেয়ে বড় কারণ হিসাবে মানা হয়। যারা দিনের বেলায় ঘুমায় তারা অলস প্রকৃতির হয়।অনেকেই ভাবে দিনের বেলা ঘুমালে শরীরে আরাম হয় কিন্তু এটা অভ্যাসে পরিণত হলে আরামের পরিবর্তে রোগ হয়ে যাবে। এজন্য এটা মাথায় রাখতে হবে এরকম অভ্যাস যেন না হয়, আর যদি এরকম অভ্যাস থাকে তাহলে এখনই সেই অভ্যাস ছাড়তে হবে যদি আপনি সুস্থ থাকতে চান।
- সব সময় ভারী খাবার না খাওয়া : খাবারে প্রোটিন এবং ভিটামিন থাকা অনিবার্য, কিন্তু এ ব্যাপারেও আমাদের সাবধান থাকতে হবে। বেশি ভারী খাবার খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য সকালে সময় মত খাবার দিতে হবে এবং দুপুরে প্রোটিন এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। কিন্তু রাতের বেলা মশলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে, এতে শরীরে ছোটখাটো রোগ থেকে বাঁচা যাবে।
- রাতে জেগে থাকা : অনেকেরই রাতে জাগা অভ্যাস থাকে। যেমন দিনের বেলা ঘুমালে শরীরে রোগের বাসা বাঁধে তেমনি রাতের বেলা জেগে থাকা শরীরের পক্ষে প্রচণ্ড ক্ষতিকারক। প্রত্যেক কাজের একটি সঠিক সময় থাকে, আর সেই সময় কাজ করা উচিত। রাতে জাগার কারণে আপনি বিভিন্ন রকম রোগের সম্মুখীন হতে পারেন, যেমন- টেনশন, মোটা হওয়া, পেট খারাপ বিভিন্ন রকম রোগ হতে পারে।
- সঠিক শরীরচর্চা : শরীরের যেকোনো রোগের সাথে লড়াই করার ক্ষমতাকে ইমিউনিটি অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলে। যার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা যত কম থাকে সে ততো অসুস্থ থাকে, কখনো সর্দি, কাশি, জ্বর আরো ছোট ছোট কিছুদিন পরপরই হতে থাকে। কোন মানুষের ইমিউনিটি পাওয়ার বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তার শরীর চর্চা এবং অভ্যাসের উপর নির্ভর করে। যে সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠে, প্রত্যেকদিন নিয়মিত ব্যায়াম করে, সঠিক সময়ে খাওয়া এবং রাতে সঠিক সময় ঘুমায় তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে এবং অনেক রোগ থেকে দূরে থাকে।
তাহলে এগুলো ছিল কিছু পরামর্শ যেগুলো আপনার শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখবে। আপনি যদি এই পরামর্শগুলো মেনে চলেন তাহলে আপনার জীবনে অর্ধেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন