|| আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে লম্বা হওয়ার উপায় ||
Ways to increase height in Ayurvedic method
লম্বা হওয়ার যে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া আছে সেটা হল Tendon বা হাড়-কে একসাথে জুড়িয়ে দেয় এবং অন্যান্য পেশিকলা উপর কাজ শুরু করে দেয়। আর সেই গুলোকে আমরা লম্বা করতে পারি, কিন্তু খুব বেশি করা যাবে না। আর খুব একটা পরিবর্তনও বোঝা যাবে না।
কিন্তু শরীরকে লম্বা এবং চওড়া বানানোর জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনার উচ্চতা কিছু ইঞ্চি বাড়তে পারে।কয়েকজনের লম্বা না হওয়ার কারণ বংশগত বা জেনেটিক প্রবলেম হয়ে থাকে। যদি তার মা-বাবা অথবা যার উপর তার শরীরের কাঠামো গেছে, তার উচ্চতা যদি কম হয় তাহলে কোনো কিছুর সাহায্যেই উচ্চতা বাড়ানো যাবে না।
আমাদের জীবনধারায় কি কি পরিবর্তন করলে লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে :-
- সেই খাবার খাওয়া শুরু করুন যেগুলোতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন থাকে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে সবজি এবং ফল খেতে থাকুন যাতে আপনার শরীরের কাঠামো বৃদ্ধি পায়।
- শরীরে গ্রোথ হরমোন বাড়ানোর জন্য দিনে তিনবার ছাড়াও ছয়বার অল্প অল্প করে ভোজন করা উচিত। উচ্চতা বাড়ানোর জন্য বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না, এতে উচ্চতা বাড়ার জায়গায় থেমে যেতে পারে।
- সঠিক ভাবে ঘুমানো খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস লম্বা হওয়ার জন্য। কেননা শোয়ার সময় আপনার মাংসপেশি এবং শরীর ছাড়তে থাকে,তাই ঠিক ভাবে ঘুমানো লম্বা হওয়ার জন্য জরুরি।
- আপনার ঘাড় এবং মাথা সব সময় সোজা রাখুন। যদি আপনি সব সময় মাথা নীচু করে রাখেন তাহলে আপনার স্পাইনাল কর্ড বেঁকে যাবে যার ফলে আপনার শরীর দেখতে আরো ছোট লাগবে।
- আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন, কারণ ওজন কম হয়ে গেলে আপনার উচ্চতা ঠিকভাবে বাড়বেনা।
- কম বয়সে জিম যাওয়া উচিত না। যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের নিচে হয়, তাহলে জিম করলে আপনার উচ্চতা থেমে যেতে পারে।
- প্রচুর পরিমাণে জল এবং দুধ খাবেন এগুলো ছাড়া ডিম, মাংস এবং মাছ খাওয়া আবশ্যক লম্বা হওয়ার জন্য।
- এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা জরুরি উচ্চতা বাড়ানোর জন্য।
এই ছিল কিছু পরামর্শ যেগুলো আপনি প্রতিদিন নিয়মিত পালন করলে আপনার উচ্চতা বাড়তে পারে।